Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Title
লক্ষাধিক শিক্ষার্থী বাংলাদেশে শরণার্থী!
Details

মিয়ানমারের উত্তর আরাকানে (রাখাইন) গত আগস্টের সহিংসতার পর বন্ধ হয়ে যাওয়া ৪২৬টি স্কুলের মধ্যে ৩০৩টি স্কুল চালু হলেও সেখানে অধিকাংশ শিক্ষার্থী এখনও অনুপস্থিত। শিক্ষার্থী না থাকায় অনেক স্কুল চালু করা যাচ্ছে না বলে জানায় রাখাইন রাজ্যের শিক্ষা বিভাগ। আর ঝরে পড়া এসব শিশু শিক্ষার্থী বাংলাদেশে শরণার্থী হিসাবে আশ্রয় নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাখাইন রাজ্যের শিক্ষা বিভাগের সূত্র মতে, গত আগস্টের সহিংসতার পর মংডু জেলায় ১৮৪টি, বুচিদং জেলায় ২২২টি ও রাচিদং-এ ২০টি স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে সেখানে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় মধ্য অক্টোবর থেকে ধীরে ধীরে ৩০৩টি স্কুল চালু করা হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীর অভাবে এখনও ১২৩টি স্কুল চালু করা যায়নি। আবার চালুকৃত স্কুলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত বলে রাখাইনের শিক্ষা বিভাগের ডিসেম্বর মাসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তর রাখাইনের তিন জেলার ৩০৩টি স্কুল চালু করা গেলেও এসব স্কুলে এখন মাত্র ৫৩ হাজার শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছে। অনুপস্থিত রয়েছে ১ লাখ ৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। আর এসব শিশু শিক্ষার্থী গত আগস্টের পর শরণার্থী হিসাবে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
গত আগস্টের পর বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে আড়াই লাখই শিশু। এদের মধ্যে অনেকেই ছিল গুলিবিদ্ধ। কেউ কেউ ছিল গুরুতর আহত। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া শিশুরা জানিয়েছে, তারাও মিয়ানমার বাহিনীর নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি। বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের শরণার্থী শিশুরা ক্যাম্পে পড়ালেখার সুযোগ পাচ্ছে না বলে জানান
সিএসও-এনজিও ফোরাম কক্সবাজারের কো-চেয়ার আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা। তিনি বলেন- এনজিও পরিচালিত স্কুলের মাধ্যমে ওসব রোহিঙ্গা শিশুর পড়ালেখা নিশ্চিত করা উচিৎ।

 

Images
Attachments
Publish Date
27/01/2018
Archieve Date
29/01/2018