Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
ঐতিহ্যবাহী রাসঁ মন্দির
বিস্তারিত

 

জেলার একমাত্র রাসপূঁজা বা রাসমহোৎসবটি অনুষ্ঠিত হয় খুরুশ্কুলে। ১৯৭১ সালে রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে রাসমহোৎসব আয়োজন করার অভিপ্রায়ে ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। সাধক প্রবোধ পাল সর্ব প্রথম খুরুশ্কুলে রাসমহোৎসব উদ্যাপন করার পরামর্শ দেন। ২৮ নভেম্বর ১৯৭২ সালে পাল পাড়া রাস বিহারী মন্দিরে প্রথম রাস পূঁজার আয়োজন করা হয়। দাতা নকুল চন্দ্র পাল, প্রতিষ্ঠাতা সাধক প্রবোধ পাল খুরুশ্কুলের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাস মহোৎসব করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।

তখন মন্দির ছিল একখানা বাঁশের বেড়া, গোল পাতার ছাউনি, জায়গাটাও ছিল সংকীর্ণ। পরে স্বর্গীয়া প্রতিমা বালা পাল ২০ (বিশ) শতক জমি ক্রয় করে মন্দিরের জন্য দান করেন। এভাবে সামাজিক প্রচেষ্টায় পূর্বের মন্দির খানা ভেঙ্গে বর্তমান মন্দির খানা গড়ে তোলা হয়।

উক্ত স্থানে বর্তমানে একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অনাথ আশ্রম গড়ে উঠেছে। সেখানে অনাথ ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া শিখিয়ে স্বাবলম্বী করে তোলা হয়।

প্রতি বৎসর নভেম্বর মাসে খুরুশ্কুল পাল পাড়ায় প্রায় চার দিন ব্যাপী বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে রাসপূঁজা উদ্যাপিত হয়ে থাকে। এই রাস পূঁজা বা রাসমহোৎসব উপলক্ষে খুরুশ্কুলে কক্সবাজার তথা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হাজার হাজার ভক্ত নারী-পুরুষ ও সাধক-সন্যাসীর আগমন ঘটে।

অবস্থান:মন্দির টি জেলা সদর হতে ৬ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত,এবং খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদ হতে ১ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত।উক্ত মন্দিরে সি.এন.জি ও রিক্সা যোগে যাতায়াত করা যায়।