কনটেন্টটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন
বর্তমানে সম্প্রিতির সুর শিল্পী গোষ্ঠী নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে।
সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে খুরুশ্কুল অনেক সমৃদ্ধ। প্রান্তিক অঞ্চল হিসেবে কালে কালে লোকশিল্পীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল এ অঞ্চল। পালাগান, জারিগান, ভাটিয়ালী ও পুঁথিপাঠের আসরে নোনা বাতাস সতেজ করে তুলতো এই এলাকার মানুষের মন ও মানস। লোকমানস গঠনে এ অঞ্চলের চারণ কবিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিয়ার উৎসব ও কবিগান ছিল খুরুশ্কুলের আরেক ঐতিহ্য।
নিয়মিত কবিগান ও পুঁথি পাঠের আসর বসত বিত্তমানদের দেউড়ি ঘর কিংবা বিয়ের আসর ও ছেলেমেয়েদের খৎনা বা মুসলমানী এবং মেয়েদের কান ছেদানোর উৎসবের সময়।
হাইল্যাগীত এ অঞ্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় লোক সঙ্গীত এবং লোক সংস্কৃতির আরেক অনবদ্য উপাদান। ধান চাষের সময় একদল কৃষক দলীয়ভাবে এই গান গেয়ে থাকে। এক সময় খুরুশকুলে এ গানের খুব প্রচলন ছিল। শীতকালে গাজীর গীতের আসর বসত। শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে খুরুশ্কুলের সে ঐতিহ্যময় যাত্রা আজও বিদ্যমান। মালকাবানুর হঁওলা গীতি সে সময় থেকে আজও খুরুশকুল তথা বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে লোক সঙ্গীত পিপাসু মানুষের মনে সমান প্রভাব বিস্তার করে আছে। উল্লেখ্য যে, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার উপস্থাপনায় এই গীতি জাতিসংঘের এক লোকসেমিনারে অডিও টেপরেকর্ডের মাধ্যমে শুনানো হলে এর সুরের মুর্ছনায় হাজারো শ্রোতা আবেগাপ্লুত হয়।
এছাড়ারাও বিভিন্ন এনজিও সমুহ মাঝে মাঝে বিভিন্ন জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নাটিকা, সংগীতানুষ্ঠান ইত্যাদি প্রচার করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস